ব্রীচ পজিশন কী,
ব্রীচ পজিশন (Breech Position) বলতে গর্ভে
থাকা শিশুর এমন অবস্থাকে বোঝায়, যেখানে শিশুর মাথা উপরের
দিকে ও নিতম্ব বা পা নিচের দিকে থাকে—অর্থাৎ সাধারণ ডেলিভারির জন্য উপযুক্ত
“হেড-ডাউন” অবস্থার ঠিক বিপরীত। এটি সাধারণত গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে হয়ে থাকে,
তবে ৩৬ সপ্তাহ পার হওয়ার পরও যদি বাচ্চা ব্রীচ অবস্থায় থাকে,
তখন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা প্রয়োজন।
কিভাবে বুঝবেন
বাচ্চার ব্রীচ পজিশন আছে?
বাড়িতে থাকলে নিজে
বোঝা কঠিন, তবে কিছু লক্ষণ দেখে ধারণা করা যায়, এবং
চিকিৎসক আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পারেন।
ব্রীচ পজিশনের
লক্ষণসমূহ:
১. উচ্চ গর্ভতলির
অনুভব (High
Fundal Height): শিশুর মাথা যদি ওপরের দিকে থাকে, তাহলে
গর্ভতলি (পেটের ওপরের দিক) বেশি উঁচু মনে হতে পারে।
২. পেটের নিচের অংশে
শক্ত কিছু অনুভব না হওয়া: সাধারণত শিশুর মাথা নিচে থাকলে, নিচের অংশে
গোল এবং শক্ত কিছু অনুভূত হয়। ব্রীচ হলে নিচে কোমল অংশ (পা বা নিতম্ব) অনুভব হতে
পারে।
৩. মারাত্মক বা
অস্বাভাবিক ধরনের লাথি: যদি বাচ্চার মাথা ওপরে থাকে, তাহলে তার পা নিচের দিকে অবস্থান
করতে পারে এবং পা ও পায়ের আঙুল দিয়ে তলপেটে (পেলভিসের নিচে) বা জরায়ুর নিচের দিকে
লাথি অনুভূত হতে পারে।
৪. শ্বাসকষ্টের
অনুভব: বাচ্চার মাথা যদি ওপরের দিকে থাকে, তবে ফুসফুসের ওপর চাপ পড়ে এবং মায়ের শ্বাস
নিতে কষ্ট হতে পারে, বিশেষ করে বসে থাকার সময়।
৫. চিকিৎসকের শারীরিক
পরীক্ষা: প্রসবের তারিখের কাছাকাছি সময় চিকিৎসক পেট স্পর্শ করে শিশুর অবস্থান বোঝার
চেষ্টা করেন। অনেক সময় গর্ভের আকার ও চাপ অনুভব করেই অনুমান করা যায় ব্রীচ পজিশনের
বিষয়টি।
৬. আল্ট্রাসনোগ্রাফি
(Ultrasound):
এটাই
সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নিশ্চিত পদ্ধতি। একজন গাইনোকোলজিস্ট সাধারণত
৩২–৩৬ সপ্তাহের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে শিশুর অবস্থান নির্ধারণ করেন।
ব্রীচ পজিশন থাকলে
করণীয় কী?
- অনেক সময় ৩৬ সপ্তাহের আগে বাচ্চা নিজে থেকেই ঘুরে
“হেড-ডাউন” অবস্থানে চলে আসে।
- ৩৬–৩৭ সপ্তাহে যদি এখনও ব্রীচ থাকে, তাহলে
চিকিৎসক External Cephalic Version (ECV) নামে
একধরনের হালকা বাইরের চাপ প্রয়োগ করে শিশুর অবস্থান ঘোরানোর চেষ্টা করতে
পারেন।
- ব্রীচ পজিশনে সাধারণত স্বাভাবিক ডেলিভারি ঝুঁিপপূর্ণ
হয়ে ওঠে। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিজারিয়ান ডেলিভারির পরামর্শ দেওয়া হয়।
সতর্কতা: ব্রীচ পজিশনের লক্ষণ
দেখে নিজে নিশ্চিত হওয়া উচিত নয়। চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি প্রয়োজন।
সার্চ কী: ব্রীচ পজিশন কি, ব্রীচ বেবি লক্ষণ, গর্ভের শিশুর ব্রীচ
পজিশন, বাচ্চার অবস্থান কিভাবে বুঝবো, বেবি
হেড ডাউন না হলে কী হয়, বাচ্চা উল্টো থাকলে কী সমস্যা হয়,
ব্রীচ ডেলিভারি ঝুঁকি, ব্রীচ অবস্থার চিকিৎসা,
গর্ভে শিশুর অবস্থান নির্ধারণ, গর্ভাবস্থায়
আল্ট্রাসনো রিপোর্ট বুঝার নিয়ম, ব্রীচ পজিশনের ঘরোয়া
সমাধান, বেবি ব্রিচ হলে কি সিজার হবে, গর্ভে
বাচ্চার সঠিক অবস্থান, ব্রীচ পজিশনের লক্ষণ ও সমাধান
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক ও সম্পাদক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - সম্পাদক, Bangla Articles