পল্লী বিদ্যুতের মিটার
স্থানান্তরের নিয়ম: ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ আবেদন প্রক্রিয়া (আপডেট গাইড)
বাংলাদেশের গ্রামীণ ও উপশহর এলাকাগুলোর অধিকাংশ
পরিবারের বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন পল্লী
বিদ্যুৎ সমিতি (PBS)। সময়ের
সঙ্গে সঙ্গে ঘরবাড়ির সম্প্রসারণ, নতুন ঘর নির্মাণ, মিটার
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা অথবা নিরাপত্তাজনিত কারণে মিটার স্থানান্তরের প্রয়োজন দেখা
দেয়। কিন্তু অনেক গ্রাহকই জানেন না—মিটার স্থানান্তর করতে ঠিক কী কী ধাপ অনুসরণ
করতে হয়, কোন কাগজপত্র লাগবে, কত টাকা
খরচ হবে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় কত সময় লাগে।
এই বিস্তারিত গাইডে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার
স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা, ধাপসমূহ, কাগজপত্র,
ফি, সমীক্ষা (Survey), CMO ইস্যু, লাইনম্যানের কাজ থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অফিসিয়াল
টোনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মিটার স্থানান্তরের প্রয়োজন
কেন হয়?
গ্রাহক বিভিন্ন কারণে মিটার স্থানান্তর করতে
বাধ্য হন। সাধারণ কারণগুলো হলো—
১. নতুন ভবন নির্মাণ বা ঘর
সম্প্রসারণ
নতুন নির্মাণকাজের কারণে পূর্বের মিটারের অবস্থান
বাধাগ্রস্ত বা অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে।
২. মিটারের বর্তমান অবস্থান
ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া
যেমন—বৃষ্টির নিচে, পানির সংস্পর্শে, কম উচ্চতায় বা প্রবেশগম্য স্থানে থাকা।
৩. ঘরের ভেতরের মিটার বাইরে
স্থানান্তর
নিরাপত্তা, বিল সংগ্রহ, পরিদর্শন
এবং রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধার জন্য অনেক সময় মিটার বাইরে স্থাপন করতে হয়।
৪. সার্ভিস ড্রপ তার ছোট বা
বড় হয়ে যাওয়া
দীর্ঘমেয়াদে তার ঢিলা বা ছোট হয়ে গেলে মিটার
স্থানান্তর প্রয়োজন হতে পারে।
৫. এক স্থানের লাইন অন্য
স্থানে ব্যবহার করতে চাওয়া
একই হোল্ডিংয়ের মধ্যে ঘর পরিবর্তন করা হলে অনেক
সময় মিটার স্থানান্তর প্রয়োজন হয়।
৬. সরকারি নিরাপত্তা বিধি
অনুসরণ করা
পল্লী বিদ্যুতের নীতিমালা অনুযায়ী মিটার একটি
নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড উচ্চতা ও নিরাপদ অবস্থানে স্থাপন করা বাধ্যতামূলক।
ধাপ–১: নতুন স্থানে সঠিকভাবে
ওয়্যারিং সম্পন্ন করা
মিটার স্থানান্তরের প্রথম এবং সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো নতুন জায়গায় সঠিক ও মানসম্মত বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং প্রস্তুত
করা।
এই ওয়্যারিং অবশ্যই অনুমোদিত
ইলেকট্রিশিয়ান বা লাইসেন্সধারীর মাধ্যমে করতে হবে।
ওয়্যারিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
✔ পোল / খুঁটির
দূরত্ব
নতুন মিটার স্থাপনের স্থান থেকে নিকটস্থ পল্লী
বিদ্যুতের খুঁটির দূরত্ব সর্বোচ্চ ১৩০ ফুট হওয়া বাধ্যতামূলক। এর বেশি হলে
আবেদন অনুমোদনে সমস্যা হতে পারে বা অতিরিক্ত খরচ হতে পারে।
✔ ওয়্যারিং
রিপোর্ট প্রস্তুত
ওয়্যারিং শেষ হলে ইলেকট্রিশিয়ানকে একটি ওয়্যারিং রিপোর্ট দিতে হবে।
এই রিপোর্টেই উল্লেখ থাকবে—
- ওয়্যারিং সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি না
- সার্ভিস ড্রপ তার বড়/ছোট লাগবে কি না
- নতুন মিটার স্থাপনের স্থান কতটুকু নিরাপদ
- নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু করা হয়েছে কি না
✔ কেন ওয়্যারিং
রিপোর্ট এত গুরুত্বপূর্ণ?
কারণ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সমীক্ষা (Survey) করার
সময় এই রিপোর্টের ওপরই সিদ্ধান্ত নেয়।
ধাপ–২: সার্ভিস ড্রপ তার
সংগ্রহ—ফ্রি নাকি কিনতে হবে?
বাংলাদেশে অনেক গ্রাহক মনে করেন সার্ভিস তার নিজ
খরচে কিনতে হয়। সত্য হলো—
✔ পল্লী বিদ্যুৎ
অফিস সার্ভিস ড্রপ তার ফ্রি দিয়ে থাকে।
তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—
- অফিসে তার না থাকলে গ্রাহক সাময়িকভাবে বাজার থেকে কিনে
আনতে পারেন।
- তারের মূল্য পরে অফিস বিল থেকে সমন্বয় করে দেবে
(ডেডাকশন)।
- কেউ যদি সার্ভিস
তারের নামে টাকা দাবি করে—
সরকারি রশিদ ছাড়া কখনোই অর্থ প্রদান করবেন না।
ধাপ–৩: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রস্তুত করা
মিটার স্থানান্তরের আবেদন জমা দেওয়ার আগে
নিম্নোক্ত কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে:
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
(আবশ্যিক):
- ✔ সর্বশেষ
পরিশোধিত বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি
- ✔ জাতীয়
পরিচয়পত্র (NID)-এর কপি
- ✔ ওয়ারিং
রিপোর্ট
- ✔ একটি
পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি
- ✔ হোল্ডিং/জমির
মালিকানার কাগজ (প্রয়োজনে)
এই কাগজপত্রের ভিত্তিতেই অফিস আপনার আবেদন যাচাই
করবে।
ধাপ–৪: পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে
গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ
সব কাগজপত্র সংগ্রহের পর সংশ্লিষ্ট PBS অফিসে যেতে
হবে।
অফিসে যে কাজগুলো করবেন—
- One-Stop Service কাউন্টারে যাবেন
- মিটার স্থানান্তরের বিষয় জানাবেন
- নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করবেন
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেবেন
- অফিসার আবেদন যাচাই করে সমীক্ষা ফি নির্ধারণ
করবেন
সমীক্ষা (Survey) ফি:
মাত্র ৪১৪ টাকা
এটি পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল চার্জ (রশিদসহ)।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
- রশিদ ছাড়া কাউকে কোনো অর্থ প্রদান করবেন না।
- সংরক্ষণ করে রাখবেন—সমীক্ষা ফি রশিদ ভবিষ্যতের জন্য
অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ধাপ–৫: সমীক্ষা / পরিদর্শন
প্রক্রিয়া (Survey)
ফি জমা দেওয়ার ২–৩ দিনের মধ্যে টেকনিক্যাল টিম
আপনার বাসায় গিয়ে সমীক্ষা করবে।
তারা যা যা যাচাই করবে—
- ওয়্যারিং সঠিক হয়েছে কি না
- সার্ভিস ড্রপ তার ছোট/বড় লাগবে কি না
- নতুন মিটার স্থানের নিরাপত্তা
- পোলের দূরত্ব ১৩০ ফুটের মধ্যে কি না
- উচ্চতা, ঝুঁকি বা বাধা আছে কি না
কখনও কখনও সমীক্ষা না করেও
আবেদন অনুমোদন হয়
যদি আপনার জমা দেওয়া কাগজপত্র ও ওয়্যারিং রিপোর্ট
পুরোপুরি সঠিক থাকে।
ধাপ–৬: আবেদন অনুমোদন ও CMO ইস্যু
সমীক্ষা শেষ হলে অফিস আবেদন অনুমোদন করে CMO (Customer Meter Order) ইস্যু করে।
CMO কী?
এটি একটি অফিসিয়াল ডকুমেন্ট, যা
লাইনম্যানকে নির্দেশ দেয়—
“এই গ্রাহকের মিটার নির্ধারিত স্থানে
স্থানান্তর করা হবে।”
✔ CMO ছাড়া
মিটার স্থানান্তর করা যায় না।
ধাপ–৭: লাইনম্যান পাঠানো ও
মিটার স্থানান্তর সম্পন্ন করা
CMO ইস্যুর ৩–৫ দিনের মধ্যে আপনার এলাকায়
দায়িত্বপ্রাপ্ত লাইনম্যান কাজ করতে আসবেন।
লাইনম্যান যা যা করবেন—
- পুরোনো স্থান থেকে মিটার খুলবেন
- নতুন স্থানে সঠিকভাবে ইনস্টল করবেন
- সার্ভিস ড্রপ তার লাগাবেন
- সংযোগ টেস্ট করবেন
- নিরাপত্তা পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন
সম্পূর্ণ কাজ সাধারণত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা
সময় লাগে।
মিটার স্থানান্তরে মোট সময় কত
লাগে?
|
ধাপ |
সময় |
|
ওয়্যারিং কাজ |
১ দিন |
|
কাগজপত্র প্রস্তুত |
১ দিন |
|
অফিসে আবেদন ও ফি
জমা |
১ দিন |
|
সমীক্ষা |
২–৩
দিন |
|
CMO ইস্যু |
১–২ দিন |
|
লাইনম্যান দ্বারা স্থানান্তর |
৩–৫
দিন |
মোট আনুমানিক সময়: ৭–১০ দিন
(ব্যস্ততা বা ছুটিতে সময় আরও বাড়তে পারে)
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- ✔ সরকারি
রশিদ ছাড়া কখনোই কাউকে টাকা দেবেন না
- ✔ অনুমোদিত
ইলেকট্রিশিয়ান ছাড়া ওয়্যারিং করাবেন না
- ✔ মিটার
সবসময় নিরাপদ উচ্চতায় ইনস্টল করুন
- ✔ মিটার
পানির সংস্পর্শে বা বৃষ্টির নিচে রাখবেন না
- ✔ কাজ শেষে
মিটারের রিডিং ঠিক আছে কি না দেখে নিন
- ✔ প্রয়োজনে
অনলাইনে বিল পরীক্ষা করুন
১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও
উত্তর
১. মিটার স্থানান্তরের সরকারি
ফি কত?
শুধুমাত্র সমীক্ষা ফি ৪১৪ টাকা।
এর বাইরে রশিদ ছাড়া কোনো টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই।
২. সার্ভিস ড্রপ তার কি
সত্যিই ফ্রি?
হ্যাঁ, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বিনামূল্যে সার্ভিস
ড্রপ তার দেয়।
৩. যদি তার স্টকে না থাকে?
তাহলে আপনি বাজার থেকে কিনতে পারবেন এবং অফিস পরে
বিল থেকে বিয়োগ করে দেবে।
৪. মিটার কি অন্য বাড়ি বা
জমিতে নেওয়া যায়?
একই হোল্ডিংয়ে সাধারণত অনুমতি মেলে।
অন্য হোল্ডিং হলে মালিকানা কাগজ দিতে হবে।
৫. লাইনম্যানকে টিপস দেওয়া
বাধ্যতামূলক কি?
না। সরকারি কাজে টিপস দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
৬. আবেদন কি অনলাইনে করা যায়?
বর্তমানে মিটার স্থানান্তরের আবেদন সরাসরি অফিসে
গিয়ে করতে হয়।
৭. মিটার কত উচ্চতায় বসাতে হয়?
পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুযায়ী নিরাপদ উচ্চতা
নির্ধারিত আছে (সাধারণত ৫–৬ ফুট)।
৮. মিটার স্থানান্তরের পর
বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে কতক্ষণ?
সাধারণত ৩০–৬০ মিনিট।
৯. সমীক্ষা না হলে কি অনুমোদন
হবে?
যদি সব ডকুমেন্ট ঠিক থাকে, কিছু
ক্ষেত্রে এস্টিমেট/CMO তৈরি হয়ে যায়।
১০. মিটার স্থানান্তরে কি
কোনো অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিয়ম মানতে হয়?
হ্যাঁ—মিটার বৃষ্টি, পানির ছিটা,
শিশুদের নাগাল এবং আগুনের উৎস থেকে দূরে রাখতে হবে।
উপসংহার: পল্লী বিদ্যুতের মিটার
স্থানান্তর একটি সুস্পষ্ট, নির্ধারিত ও সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন প্রক্রিয়া।
সঠিক ওয়্যারিং, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সরকারি ফি জমা, সমীক্ষা যাচাই এবং CMO ইস্যুর মাধ্যমে কয়েক দিনের মধ্যেই মিটার নিরাপদে নতুন স্থানে স্থানান্তর
করা যায়।
গ্রাহকের করণীয় হলো—
- নিয়ম মেনে আবেদন করা
- রশিদ ছাড়া অর্থ প্রদান না করা
- অনুমোদিত ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ নেওয়া
- মিটার নিরাপদ স্থানে বসানো
সব ধাপ সঠিকভাবে অনুসরণ করলে ৭–১০ দিনের
মধ্যেই মিটার স্থানান্তর সম্পন্ন হয়, এবং ভবিষ্যতে কোনো ধরনের ঝামেলা বা
অতিরিক্ত ব্যয়ের মুখোমুখি হতে হয় না।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার স্থানান্তর, পল্লী
বিদ্যুতের মিটার স্থানান্তর নিয়ম, মিটার স্থানান্তর আবেদন
প্রক্রিয়া, পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তন কিভাবে করবেন,
rural electricity meter transfer bangladesh, পল্লী বিদ্যুৎ মিটার
স্থানান্তরের কাগজপত্র, মিটার স্থানান্তর ফি, পল্লী বিদ্যুৎ সিএমও আবেদন, পল্লী বিদ্যুৎ লাইনম্যান
কাজ, পল্লী বিদ্যুৎ সার্ভিস ড্রপ তার ফ্রি কি, মিটার স্থানান্তর গাইড বাংলাদেশ, পল্লী বিদ্যুৎ
মিটার শিফটিং, বিদ্যুৎ মিটার স্থান পরিবর্তন নিয়ম, মিটার স্থানান্তরের আবেদন কোথায় করবেন, পল্লী
বিদ্যুৎ সমীক্ষা ফি, মিটার স্থানান্তর কিভাবে হয়, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কাজ, Bangladesh palli bidyut meter transfer,
electricity meter shifting rules BD.
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক ও সম্পাদক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - সম্পাদক, Bangla Articles
.png)
