বায়িং হাউজে চাকরির জন্য
ইংরেজি জানা বাধ্যতামূলক হতে পারে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। কারণ:
১. আন্তর্জাতিক যোগাযোগ:
বায়িং হাউজ সাধারণত আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য
কিনতে এবং বিক্রি করতে কাজ করে। এই ক্ষেত্রে, ইংরেজি একটি
আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক ভাষা হিসেবে ব্যবহার হয়। ক্রেতা-বিক্রেতা, সরবরাহকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সাথে ইংরেজিতে যোগাযোগ করা
সাধারণত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. ডকুমেন্টেশন এবং চুক্তি:
বায়িং হাউজে কাজের জন্য সাধারণত ইংরেজিতে পণ্য
ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি, দরপত্র, প্রোফর্মা ইনভয়েস, শিপিং ডকুমেন্টস ইত্যাদি থাকতে পারে। ইংরেজিতে এগুলি বোঝা এবং প্রক্রিয়া
করা প্রয়োজন।
৩. ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং
নেটওয়ার্কিং:
বায়িং হাউজে চাকরি করার সময়ে আপনাকে বিদেশী
ক্লায়েন্ট, সাপ্লাইয়ার বা ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হয়। ইংরেজি
জানলে, আপনি আরও ভালভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন এবং
পেশাগত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারবেন।
৪. মার্কেট রিসার্চ:
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজার, পণ্যের
ট্রেন্ডস এবং ক্রেতাদের চাহিদা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হলে বেশিরভাগ সময়ে
ইংরেজি ভাষার ওয়েবসাইট, প্রতিবেদন এবং বাজার বিশ্লেষণ
ব্যবহার করতে হবে। ইংরেজি জানলে এই ধরনের তথ্য সহজে বুঝতে এবং কাজে লাগাতে সুবিধা
হয়।
৫. প্রোফেশনাল ডেভেলপমেন্ট:
বায়িং হাউজের কর্মীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের
ট্রেনিং, ওয়েবিনার এবং কর্মশালা পরিচালিত হয়, যা সাধারণত
ইংরেজিতে হয়। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকলে আপনাকে এসব কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে
সুবিধা হবে এবং আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
উপসংহার:
যদিও সব বায়িং হাউজে চাকরির জন্য ইংরেজি জানা বাধ্যতামূলক নয়, তবে ইংরেজি জানা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় এবং সুবিধাজনক। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যোগাযোগের কারণে ইংরেজি দক্ষতা থাকা চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এবং কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে (Bangla Articles) প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় দুষ্কৃতিকারী নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Articles