ব্যবস্থাপনার
উদ্দেশ্য কি কি? আলোচনা
ব্যবস্থাপনার
উদ্দেশ্য (Objectives of Management)
প্রতিটি ব্যবসায়িক ও
সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মূল
ভিত্তি। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন ও তা
সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা। অন্যদিকে, যদি প্রতিষ্ঠান সামাজিক সেবামূলক হয়,
তাহলে এর মূল লক্ষ্য হবে জনগণের কল্যাণ সাধন। অর্থাৎ, উদ্দেশ্যবিহীন
ব্যবস্থাপনা কোনো প্রতিষ্ঠানকে সফল করতে পারে না।
ব্যবস্থাপনার মূখ্য
উদ্দেশ্যসমূহ:
১. মুনাফা অর্জন ও মুনাফা সর্বোচ্চকরণ: ব্যবসায়
প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য হলো প্রথমে মুনাফা অর্জন করা এবং পরবর্তীতে
ক্রমবর্ধমান মুনাফা নিশ্চিত করা। মুনাফা বাড়ানোর মাধ্যমে মালিকদের সম্পদ বৃদ্ধি
পায় এবং প্রতিষ্ঠান আরও শক্তিশালী হয়।
২. ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ: লাভের একটি অংশ
পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করা ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ
দায়িত্ব। সফল ব্যবসার জন্য এটি অপরিহার্য, কারণ সম্প্রসারণ ছাড়া ব্যবসার স্থায়িত্ব ও
বিকাশ সম্ভব নয়।
৩. সম্পদের ফলপ্রসূ ব্যবহার: প্রতিষ্ঠানের
মানবসম্পদ, অর্থ, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সম্পদ সঠিক ও সর্বোচ্চ
দক্ষতায় ব্যবহার নিশ্চিত করা হয় যাতে অপচয় এড়ানো যায় এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
৪. মানবসম্পদের উন্নয়ন: যোগ্য ও দক্ষ
কর্মী নির্বাচন এবং তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
এটি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
৫. শান্তিপূর্ণ কর্মপরিবেশ বজায় রাখা: কর্মীদের
মধ্যে অসন্তোষ দূর করে একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশ তৈরি করা যাতে তারা
আনন্দ-উৎসাহে কাজ করতে পারে। চৌকস নেতৃত্ব এই উদ্দেশ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে।
৬. পণ্য ও সেবার মান উন্নয়ন: উৎপাদিত পণ্য
ও সেবার গুণগত মান বজায় রাখা এবং উন্নত করা যাতে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জন করা
যায় এবং বাজারে প্রতিষ্ঠানের অবস্থান শক্তিশালী হয়।
৭. সমন্বয়সাধন: প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন
বিভাগ ও স্তরের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ ও সহযোগিতা নিশ্চিত করা, যাতে
উদ্দেশ্য অর্জনে বাধাহীন সমন্বয় থাকে।
৮. প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি: উচ্চমানের
পণ্য ও সেবা প্রদান এবং জনসংযোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি
গড়ে তোলা, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসার স্থায়িত্বে সহায়ক।
এগুলো মিলিয়ে ব্যবসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের
কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়।
ব্যবস্থাপনা শুধুমাত্র সংস্থান বা কর্মসংস্থান নয়, এটি একটি লক্ষ্য নির্ধারণের এবং সঠিক পথে প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার
ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
বিকল্প উত্তর:
ব্যবস্থাপনার
উদ্দেশ্য (Objectives of Management)
যে কোনো প্রতিষ্ঠানের
সাফল্যের জন্য স্পষ্ট উদ্দেশ্য থাকা জরুরি। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মূল
লক্ষ্য সাধারণত লাভ অর্জন ও তা ক্রমাগত বৃদ্ধি করা। অন্যদিকে, সামাজিক
সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ নিশ্চিত করা। অর্থাৎ উদ্দেশ্যহীন
ব্যবস্থাপনা কার্যকর হতে পারে না।
প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ
- লাভ অর্জন ও বৃদ্ধি – প্রথমে
লাভ নিশ্চিত করা এবং সময়ের সাথে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা।
- ব্যবসার প্রসার – অর্জিত
লাভের অংশ নতুন বিনিয়োগে ব্যয় করে প্রতিষ্ঠানকে বড় করা।
- সম্পদের দক্ষ ব্যবহার – মানবসম্পদ
ও অন্যান্য সম্পদের সর্বোচ্চ কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা।
- মানবসম্পদ উন্নয়ন – যোগ্য
কর্মী নিয়োগ এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি।
- শান্তিপূর্ণ কর্মপরিবেশ বজায় রাখা – কর্মীদের
মধ্যে অসন্তোষ দূর করে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলা।
- পণ্য ও সেবার মানোন্নয়ন – উৎপাদিত
পণ্য ও প্রদত্ত সেবার গুণমান বৃদ্ধি ও বজায় রাখা।
- সমন্বয় সাধন – প্রতিষ্ঠানের
ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের মধ্যে সুসম্পর্ক ও কার্যকর যোগাযোগ তৈরি করা।
- প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি – উচ্চমানের
পণ্য, সেবা ও জনসংযোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক
ভাবমূর্তি গড়ে তোলা।
সার্চ কী: ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য, Objectives of Management in Bengali, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা,
ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব, ব্যবসায় সফলতা, মুনাফা অর্জন কিভাবে, ব্যবসায় সম্প্রসারণ, সম্পদের সঠিক ব্যবহার, মানব সম্পদ উন্নয়ন, পণ্যের মান উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি,
ব্যবসা পরিচালনা কৌশল, ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া,
প্রতিষ্ঠান পরিচালনার উদ্দেশ্য, সমন্বয় ও
নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, কর্মী
পরিচালনা, সফল ব্যবসার গোপনীয়তা, ব্যবসায়
নেতৃত্বের গুরুত্ব
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক ও সম্পাদক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - সম্পাদক, Bangla Articles