মজুরীর তত্ত্বসমূহ লিখুন
মজুরীর তত্ত্বসমূহ (Theories of Wages) বিস্তারিতভাবে
ব্যাখ্যা করা হলো:
মজুরীর তত্ত্বসমূহ (Theories of Wages): মজুরী তত্ত্ব বলতে বোঝায়, শ্রমের বিনিময়ে প্রদেয় পারিশ্রমিক কীভাবে নির্ধারিত হয় তা ব্যাখ্যা করার জন্য অর্থনীতিবিদরা যে বিভিন্ন ধারণা বা ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। ইতিহাসে বহু তত্ত্ব গঠিত হয়েছে যা সময় ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মজুরী নির্ধারণের কারণ তুলে ধরেছে।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু মজুরী তত্ত্ব বিশদভাবে দেওয়া হলো:
১. সার্বিক জীবিকাস্থান
তত্ত্ব (Subsistence Theory of Wages)
প্রস্তাবক: ডেভিড রিকার্ডো এবং
টমাস মলথাস
এই তত্ত্ব অনুসারে, মজুরী এমন একটি স্তরে নির্ধারিত
হয় যা শ্রমিকের জীবনধারণের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। যদি মজুরী এই
স্তরের ওপরে যায়, তাহলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং শ্রমবাজারে
চাপ তৈরি হয়ে মজুরী আবার নিচে নেমে আসে। আবার কমে গেলে শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস পায়
ও মজুরী বাড়ে।
সমালোচনা:
- এটি মানবিক নয় কারণ এটি কেবল বেঁচে থাকার ন্যূনতম
মানকে গুরুত্ব দেয়।
- বাস্তবে মজুরী অনেক কারণের উপর নির্ভর করে।
২. বর্গমূল উৎপাদন তত্ত্ব (Marginal Productivity Theory
of Wages): প্রস্তাবক: জন বেটস ক্লার্ক। এই তত্ত্ব মতে, একজন
শ্রমিককে তার উৎপাদিত অতিরিক্ত (মার্জিনাল) পণ্যের মূল্য অনুযায়ী মজুরী প্রদান করা
উচিত। অর্থাৎ, শেষ যে শ্রমিকটি কাজে নিযুক্ত হয়, সে যতটুকু উৎপাদনে অবদান রাখে, সে অনুযায়ী তাকে
পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
উদাহরণ: একটি শ্রমিক ৫টি
অতিরিক্ত ইউনিট উৎপাদন করে, প্রতিটির দাম ১০ টাকা হলে, তার
মার্জিনাল উৎপাদন মূল্য = ৫০ টাকা = তার মজুরী।
সমালোচনা: বাস্তবে মার্জিনাল
উৎপাদন নিরূপণ করা কঠিন। এটি শ্রমিকের সম্মিলিত অবদান অবহেলা করে।
৩. বর্ণিত মান বা দর সংরক্ষণ
তত্ত্ব (Standard of Living Theory of Wages): এই তত্ত্ব মতে, শ্রমিকের
জীবনযাত্রার মানের উপর ভিত্তি করে মজুরী নির্ধারিত হওয়া উচিত। একজন শ্রমিক কীভাবে
বাঁচতে চায়, তার পরিবার ও সামাজিক চাহিদা কতটুকু—তা বিবেচনায়
রেখে মজুরী দেওয়া হয়।
গুরুত্ব: এটি মানবিক
দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচিত হয়। উন্নত দেশের মজুরী ব্যবস্থায় এই তত্ত্ব প্রাসঙ্গিক।
৪. বাজারের চাহিদা ও যোগানের
তত্ত্ব (Demand and Supply Theory of Wages): এই তত্ত্ব অনুসারে, শ্রমবাজারে
শ্রমের চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে মজুরী নির্ধারিত হয়। যখন শ্রমের চাহিদা বেশি
কিন্তু সরবরাহ কম থাকে, তখন মজুরী বাড়ে এবং বিপরীত হলে কমে।
সমালোচনা: এটি সামাজিক
দৃষ্টিকোণ ও শ্রমিকের মানবিক চাহিদা বিবেচনা করে না। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার
অবহেলিত হয়।
৫. চুক্তিভিত্তিক বা সমঝোতা
তত্ত্ব (Bargaining Theory of Wages): এই তত্ত্ব মতে, মজুরী নির্ধারণ হয় মালিকপক্ষ ও
শ্রমিকপক্ষের মধ্যে আলোচনার (বৈঠক বা সমঝোতা) মাধ্যমে। শ্রমিক সংগঠন (ট্রেড
ইউনিয়ন) শক্তিশালী হলে মজুরী বাড়ে।
গুরুত্ব: এটি বাস্তব জীবনে
বেশি ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে শ্রমিকের অধিকার রক্ষা সম্ভব হয়।
৬. ঐতিহাসিক তত্ত্ব (Residual Claimant Theory): এই তত্ত্ব অনুসারে, উৎপাদনের
অন্যান্য উপাদান যেমন পুঁজির লাভ, জমির ভাড়া ইত্যাদি কেটে
নেওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকে, তা শ্রমিকদের মজুরী হিসেবে
প্রদান করা হয়।
সমালোচনা: এতে শ্রমিককে
উৎপাদনের প্রধান ভূমিকার স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
উপসংহার: মজুরী নির্ধারণে একক
কোনো তত্ত্ব সর্বজনগ্রাহ্য নয়। বাস্তবে শ্রমের মজুরী নির্ভর করে একাধিক উপাদানের
উপর, যেমন: শ্রমের যোগান ও চাহিদা, দক্ষতা, জীবনযাত্রার মান, উৎপাদনশীলতা, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের নীতি ইত্যাদি। তাই আধুনিক সময়ে মজুরী নির্ধারণ
একটি সম্মিলিত প্রক্রিয়া, যা বিভিন্ন তত্ত্বের যৌথ প্রয়োগে
পরিচালিত হয়।
বিকল্প উত্তর:
মজুরীর তত্ত্বসমূহ লিখুন
ভূমিকা: মজুরীর বিভিন্ন
তত্ত্ব যেমন, জীবিকাস্থান তত্ত্ব, মার্জিনাল উৎপাদন তত্ত্ব,
জীবনযাত্রার মান তত্ত্ব, চাহিদা ও সরবরাহ
তত্ত্ব, চুক্তিভিত্তিক তত্ত্ব ইত্যাদি, প্রতিটি তত্ত্ব শ্রমিকের মজুরী নির্ধারণের পদ্ধতি ও তার সামাজিক অর্থ
ব্যাখ্যা করে। এই তত্ত্বগুলো কেবল মজুরী নির্ধারণের ধরণই চিহ্নিত করে না, বরং সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মজুরীর ভূমিকা এবং এর প্রভাবও প্রকাশ
করে।
মজুরীর তত্ত্বসমূহ (Theories of Wages) - সংক্ষিপ্ত বিবরণ
১. জীবিকাস্থান তত্ত্ব (Subsistence Theory): শ্রমিককে কেবল বেঁচে থাকার জন্য
যতটুকু দরকার, ততটুকু মজুরি প্রদানই যথেষ্ট।
২. মার্জিনাল উৎপাদন তত্ত্ব (Marginal Productivity Theory): শ্রমিককে তার
অতিরিক্ত উৎপাদনের পরিমাণ অনুযায়ী মজুরি দেওয়া উচিত।
৩. জীবনযাত্রার মান তত্ত্ব (Standard of Living Theory): মজুরি
নির্ধারিত হবে শ্রমিকের জীবনযাত্রার মান অনুযায়ী।
৪. চাহিদা ও সরবরাহ তত্ত্ব (Demand and Supply Theory): শ্রমবাজারে
চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে মজুরি ওঠানামা করে।
৫. চুক্তিভিত্তিক তত্ত্ব (Bargaining Theory): মালিক ও শ্রমিকের আলোচনার
ভিত্তিতে মজুরি নির্ধারিত হয়।
৬. অবশিষ্ট দাবিদার তত্ত্ব (Residual Claimant Theory): অন্যান্য
উপাদানের পর অবশিষ্ট আয় শ্রমিকদের দেওয়া হয়।
পরিশেষে, মজুরী তত্ত্বসমূহ এককভাবে নয়, বরং একে অপরের সঙ্গে মিশে আধুনিক শ্রমবাজারে একটি ন্যায্য এবং কার্যকর মজুরী কাঠামো গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিকল্প উত্তর:
মজুরীর তত্ত্বসমূহ লিখুন
মজুরী তত্ত্বগুলো ব্যাখ্যা
করে কেন এবং কিভাবে কর্মীদের মজুরি নির্ধারণ করা হয়। বিভিন্ন তত্ত্ব মজুরি
নির্ধারণের পদ্ধতি এবং কর্মীদের পারফরম্যান্স ও উৎপাদনশীলতার উপর ভিত্তি করে তাদের
আর্থিক পুরস্কার প্রদানের কারণ ব্যাখ্যা করে।
নিচে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ মজুরি তত্ত্ব আলোচনা করা হলো:
১. ক্লাসিক্যাল
তত্ত্ব (Classical Theory)
এই তত্ত্বটি অ্যাডাম স্মিথ
এবং ডেভিড রিকার্ডো এর মত অর্থনীতিবিদদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তাদের মতে, মজুরি
নির্ধারণের মূল ভিত্তি হলো সরবরাহ এবং চাহিদা। অর্থাৎ, যদি
কোনো শ্রমের জন্য চাহিদা বেশি থাকে এবং সরবরাহ কম থাকে, তবে
মজুরি বৃদ্ধি পাবে। এবং যদি সরবরাহ বেশি হয় এবং চাহিদা কম থাকে, তবে মজুরি কমে যাবে।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- সরবরাহ ও চাহিদার সম্পর্ক।
- মুক্ত বাজারে মজুরি নির্ধারণ।
- শ্রমের মূল্যায়ন সরাসরি তার উৎপাদনশীলতার সাথে
সম্পর্কিত।
২. নীতিগত তত্ত্ব (Wage Fund Theory)
ডেভিড রিকার্ডো এই তত্ত্বের
প্রবক্তা ছিলেন। তার মতে, মজুরি নির্ধারণের মূল উৎস হলো শ্রমের জন্য নির্ধারিত তহবিল
(Wage Fund)। মজুরি
কেবল তখনই বৃদ্ধি পাবে, যদি একটি প্রতিষ্ঠানের বা অর্থনীতির মধ্যে বেশি উৎপাদনশীলতা
এবং সম্পদ থাকে। এই তত্ত্বে বলা হয়েছে, যে পরিমাণ শ্রমের
জন্য অর্থ রয়েছে, সে পরিমাণ মজুরি প্রদান করা হবে।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- শ্রমের জন্য নির্ধারিত তহবিলের প্রভাব।
- কর্মীদের কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার উপর ভিত্তি করে
মজুরি নির্ধারণ।
৩. সীমাবদ্ধ
ন্যায্যতার তত্ত্ব (Theory of Competing Groups)
এই তত্ত্বটি জর্জ হেমিংওয়ে
এবং রিচার্ড এলডার প্রণয়ন করেছিলেন। তাদের মতে, মজুরি
নির্ধারণের ক্ষেত্রে কর্মীরা একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং তাদের মজুরি
নির্ধারণ হয় বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে। এতে কর্মীরা তাদের
দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে মজুরি নির্ধারণের জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- শ্রমিকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা।
- একাধিক কর্মী গোষ্ঠীর মধ্যে মজুরি নির্ধারণের
প্রক্রিয়া।
- অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক চাপের ভিত্তিতে মজুরি নির্ধারণ।
৪. মনোবিজ্ঞান তত্ত্ব
(Psychological
Theory)
এই তত্ত্ব অনুযায়ী, মজুরি
শুধুমাত্র কর্মীর জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর জন্য নয়, বরং এটি
কর্মীর মনোবিজ্ঞানিক উত্সাহ ও মনোভাবের উপরও প্রভাব ফেলে। মজুরি কর্মীর আত্মসম্মান,
সন্তুষ্টি এবং তার কাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ওপর প্রভাব ফেলে। ফ্রেডরিক
হার্জবার্গ তার দ্বৈত প্রেরণা তত্ত্ব এর মাধ্যমে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা
করেন, যেখানে তিনি বলেন যে মজুরি একটি "হাইজিন ফ্যাক্টর" (Hygiene Factor), যা
শুধু কর্মীর অসন্তুষ্টি দূর করে, কিন্তু কাজের প্রতি উৎসাহ
বা উদ্দীপনা সৃষ্টি করে না।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- কর্মীর মনোবিজ্ঞানিক অবস্থার উপর মজুরির প্রভাব।
- মজুরি কর্মীর সন্তুষ্টি এবং আত্মসম্মান বৃদ্ধিতে
সহায়ক।
- কাজের প্রতি উদ্দীপনা ও স্বীকৃতির সাথে সম্পর্ক।
৫. নির্ভরশীল তত্ত্ব
(Dependency
Theory)
এই তত্ত্ব অনুযায়ী, কর্মী মজুরি
নির্ধারণে বাহ্যিক অর্থনৈতিক শর্তগুলি প্রধান ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক অবস্থা, শ্রম বাজারের অবস্থা,
এবং সমাজের সারা গ্লোবাল অর্থনীতি এসব সবকিছুই কর্মীদের মজুরি
নির্ধারণে প্রভাব ফেলে। একে ভিত্তি ও পরিস্থিতির তত্ত্ব বলা হয়।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- বাহ্যিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক শর্তের প্রভাব।
- মজুরি নির্ধারণে প্রতিষ্ঠান বা দেশীয় অর্থনীতি ও শ্রম
বাজারের প্রভাব।
৬. মানবসম্পদ তত্ত্ব
(Human
Capital Theory)
এই তত্ত্বটি অনুযায়ী, মজুরি
নির্ধারণের প্রধান কারণ হলো মানবসম্পদের মূল্য। অর্থাৎ, একজন কর্মীর
শিক্ষা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং কাজের প্রতি আগ্রহ বা মনোভাব তার কর্মক্ষমতা এবং মজুরি নির্ধারণে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্যারি বেকার এই তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা,
যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, মানবসম্পদ (education,
skill development) একটি বিনিয়োগ যা কর্মীকে উচ্চতর মজুরি এবং
চাকরির সুযোগ এনে দেয়।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- মানবসম্পদ বা কর্মীর দক্ষতা ও শিক্ষার ভিত্তিতে মজুরি
নির্ধারণ।
- ব্যক্তিগত দক্ষতার উপর গুরুত্ব।
উপসংহার: মজুরি তত্ত্বগুলি
কাজের প্রতি কর্মীর মনোভাব, উৎপাদনশীলতা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক শর্তগুলির ভিত্তিতে
মজুরি নির্ধারণের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠান এবং কর্মীদের মধ্যে
সম্পর্ক স্থাপন এবং মজুরি কাঠামো তৈরি করার জন্য এই তত্ত্বগুলি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
সার্চ কী: মজুরির আধুনিক তত্ত্ব কি?, মজুরি দরকষাকষি তত্ত্ব কি?, মজুরির শাস্ত্রীয় তত্ত্ব কি?, মজুরির জীবনমান তত্ত্ব
কি?, বেতন ও মজুরির মধ্যে পার্থক্য, বেতন ও মজুরির উপাদানসমূহ কি কি, মজুরি প্রদানের পদ্ধতি কত প্রকার, বেতন ও মজুরি কাকে বলে, মজুরি ও বেতন হতে কি কি বিষয় কর্তন করা যায়, মজুরি প্রদানের পদ্ধতি আলোচনা কর,
সময় ভিত্তিক
মজুরি কাকে বলে, মজুরি কত প্রকার ও কি
কি
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন
মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে
সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা
যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা
পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে-
বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট
আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও
দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার
ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর
সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার
অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে
তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং
অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের
প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Articles