প্রেগন্যান্ট সময়কালে একটি বাচ্চার হার্টবিট কত পর্যন্ত হতে পারে?
গর্ভাবস্থায়, একটি শিশুর হার্টবিট তার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হতে পারে। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিটের পরিমাপ এবং তা কিভাবে পরিবর্তিত হয়, তা মায়ের গর্ভে শিশুর বিকাশের সময়সূচী এবং অন্যান্য শারীরিক বিষয়গুলির ওপর নির্ভর করে।
শিশুর হার্টবিটের পরিসীমা:
প্রেগন্যান্ট অবস্থায়, শিশুর হার্টবিট সাধারণত প্রথম কয়েক সপ্তাহে দ্রুত বৃদ্ধি পায়, এবং পরে গড় হার্টবিট কিছুটা স্থিতিশীল হয়। নিচে গর্ভাবস্থার বিভিন্ন সময়ের জন্য শিশুর হার্টবিটের স্বাভাবিক পরিসীমা দেওয়া হল:
১. প্রথম ত্রৈমাসিক (১-১২ সপ্তাহ):
- গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে, শিশুর হার্টবিট দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে।
- সাধারণত, ৬ সপ্তাহের মধ্যে শিশুর হার্টবিট শোনা শুরু হতে পারে, যদিও এটি মায়ের গর্ভের আকার এবং অবস্থানের ওপর নির্ভর করে।
- এই সময়ে হার্টবিটের গতি ১২০-১৬০ বিট প্রতি মিনিট (bpm) হতে পারে।
- প্রথম ত্রৈমাসিকে, শিশুর হার্টবিট প্রায় ১৪০-১৬০ bpm এর মধ্যে থাকতে পারে, তবে এটি কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে।
২. দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (১৩-২৬ সপ্তাহ):
- গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে, শিশুর হার্টবিট কিছুটা স্থিতিশীল হতে শুরু করে, তবে এটি এখনও ১২০-১৬০ bpm এর মধ্যে থাকতে পারে।
- এই সময়ের মধ্যে, হার্টবিট সাধারণত ১৩০-১৫০ bpm এর মধ্যে চলে আসে।
- এই সময়ের মধ্যে শিশুর হার্টবিটের গতি অনেক সময় অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক কারণে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে, তবে এটি খুব একটা উদ্বেগজনক নয়।
৩. তৃতীয় ত্রৈমাসিক (২৭-৪০ সপ্তাহ):
- গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষে, শিশুর হার্টবিট একেবারে নিয়মিত হয়ে যায়।
- এই সময়ের মধ্যে শিশুর হার্টবিট ১২০-১৫০ bpm এর মধ্যে থাকতে পারে।
- শিশুর হার্টবিট ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে, এটি জন্মের সময় সাধারণত আরও স্থির হয়ে থাকে।
হার্টবিটের দ্রুততা এবং তার অর্থ:
- কম হার্টবিট (১২০ bpm এর নিচে):
- যদি শিশুর হার্টবিট অত্যন্ত কম হয় (১২০ bpm এর নিচে), তবে এটি প্রাথমিকভাবে কোনো সমস্যা বা অস্বাভাবিকতা নির্দেশ নাও করতে পারে। তবে, যদি হার্টবিট ১০০ bpm এর নিচে চলে যায়, চিকিৎসকরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন।
- উচ্চ হার্টবিট (১৬০ bpm এর উপরে):
- হার্টবিট অতিরিক্ত দ্রুত হলে (১৬০ bpm এর উপরে), এটি একটি সতর্কতার সংকেত হতে পারে। এই ধরনের হার্টবিট অতিরিক্ত চাপ বা শারীরিক প্রভাবের কারণে হতে পারে, যেমন মায়ের অস্বস্তি বা অতিরিক্ত উত্তেজনা।
হার্টবিটের পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসকরা কীভাবে এটি যাচাই করেন:
- ডপলার হার্টবিট মনিটর: সাধারণত গর্ভবতী মায়েরা ১২-১৬ সপ্তাহের মধ্যে ডপলার ডিভাইস দিয়ে শিশুর হার্টবিট শুনতে পারেন।
- অল্ট্রাসনোগ্রাফি: গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে, অ্যাল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে শিশুর হার্টবিট নিরীক্ষণ করা হয়।
- নন-স্ট্রেস টেস্ট (NST): গর্ভাবস্থার পরবর্তী সময়ে যদি কোনো সমস্যা থাকে, তবে শিশু এবং মায়ের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করতে নন-স্ট্রেস টেস্ট করা হয়, যেখানে শিশুর হার্টবিটের গতি পরীক্ষা করা হয়।
উপসংহার: গর্ভাবস্থায় শিশুর হার্টবিট সাধারণত ১২০-১৬০ bpm এর মধ্যে থাকতে দেখা যায়। এই হার্টবিটের ওঠানামা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন শিশুর অবস্থান, মায়ের শারীরিক অবস্থা, এবং অন্যান্য চিকিৎসাজনিত কারণ। যদি হার্টবিট অত্যধিক দ্রুত বা ধীর হয়ে যায়, তবে তা কিছু সম্ভাব্য সমস্যা নির্দেশ করতে পারে এবং এমন অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
সার্চ কী: বাচ্চার হার্টবিট কত
হলে ছেলে সন্তান, বাচ্চার হার্টবিট না
আসার কারণ, বাচ্চার হার্টবিট কত
হলে স্বাভাবিক, গর্ভাবস্থায় বাচ্চার
হার্টবিট কত থাকে, সপ্তাহ অনুযায়ী
বাচ্চার হার্টবিট, বাচ্চার হার্টবিট না
আসলে করনীয়, গর্ভাবস্থায় কত
সপ্তাহে বাচ্চার হার্টবিট আসে, বাচ্চার হার্টবিট কত
হলে মেয়ে সন্তান, গর্ভকালীন বাচ্চার
হার্টবিট কত?, কোন শিশুর হার্টবিট
বেশি ছেলে না মেয়ে?, গর্ভাবস্থায় কত
দেরিতে হার্টবিট শুরু হয়?, সপ্তাহে গর্ভাবস্থায়
বাচ্চার হার্টবিট কত হওয়া উচিত?
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Articles