দক্ষিণ কোরিয়ার
স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিস্তারিত গাইড
দক্ষিণ কোরিয়ায়
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত
এই ভিসাটি দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
১. দক্ষিণ কোরিয়া
স্টুডেন্ট ভিসার প্রকারভেদ
- D-2 ভিসা: সাধারণ
স্টুডেন্ট ভিসা, যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে
পূর্ণকালীন পড়াশোনা করবে তাদের জন্য।
- D-4 ভিসা: ভাষা
শিক্ষার জন্য বা প্রাক-অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের জন্য।
- G-1 ভিসা: বিশেষ
পরিস্থিতিতে যেমন অপেক্ষমাণ সময় বা অন্য কোনো কারণ।
২. আবেদনযোগ্যতা ও
যোগ্যতা
- আবেদনকারীর বয়স সাধারণত ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে থাকা
উচিত (বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে)।
- দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
ভর্তি বা প্রাথমিক অনুমোদন থাকা।
- পর্যাপ্ত আর্থিক সম্পদ যা পড়াশোনা ও বাসস্থানের খরচ
বহন করতে সক্ষম।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র যেমন আগের
স্নাতক/মাধ্যমিক ডিগ্রির সার্টিফিকেট।
৩. আবেদন করার
ধাপসমূহ
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া: প্রথমে
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। ভর্তি নিশ্চিত করার
জন্য আপনাকে ‘Admission Letter’ বা ‘Acceptance
Letter’ পেতে হবে।
- আবেদন ফর্ম পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রস্তুত
- ভিসার আবেদন ফর্ম
- পাসপোর্ট (মেয়াদবদ্ধ হতে হবে)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র
- ভর্তি সনদপত্র (Admission Letter)
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্পন্সরের
লেটার)
- ছবি
- স্বাস্থ্যবিমা (অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে
পারে)
- অনলাইনে বা দূতাবাসে আবেদন
- দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস বা কনস্যুলেটে
আবেদন জমা দিতে হবে।
- অনলাইনে আবেদন করার সুবিধাও থাকতে পারে।
- ইন্টারভিউ ও বায়োমেট্রিক্স: প্রয়োজনে
ইন্টারভিউ ও বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হতে পারে।
- ভিসা মঞ্জুরি ও সংগ্রহ: আবেদন
প্রক্রিয়া শেষে অনুমোদন হলে ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।
৪. প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র (মূল)
- পূর্ণাঙ্গ ভিসা আবেদন ফর্ম
- পাসপোর্ট (অন্তত ৬ মাস মেয়াদি)
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (সাধারণত ৩.৫x৪.৫
সেমি)
- ভর্তি লেটার (Admission Letter)
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্পন্সর
লেটার)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট
- স্বাস্থ্য বিবরণী বা মেডিকেল সার্টিফিকেট (যদি
প্রয়োজন হয়)
- পুলিশের সার্টিফিকেট (কিছু ক্ষেত্রে)
৫. ভিসার বৈধতা ও
মেয়াদ
- স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ভর্তি প্রোগ্রামের
মেয়াদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেমন ১ বছর, ২
বছর বা পুরো কোর্সের মেয়াদ।
- ভিসা মেয়াদ শেষ হবার আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে
আবেদন করে মেয়াদ বাড়ানো যায়।
৬. ভিসা পাওয়ার পর
করণীয়
- দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের ১৪ দিনের মধ্যে স্থানীয়
ইমিগ্রেশন অফিসে নিবন্ধন করতে হয়।
- শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থাকা আবশ্যক।
- আইন লঙ্ঘন করলে বা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে ভিসা বাতিল
হতে পারে।
৭. অতিরিক্ত তথ্য
- ভাষা: অধিকাংশ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কোরিয়ান ভাষায় হলেও ইংরেজি মাধ্যমে কোর্সও পাওয়া
যায়। তাই ইংরেজি বা কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
- বেতন ও খরচ: পড়াশোনা, বাসস্থান,
খাবার ও অন্যান্য খরচের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক প্রস্তুতি থাকা
জরুরি।
- চাকরির সুযোগ: কিছু স্টুডেন্ট ভিসা
হোল্ডারদের পার্ট-টাইম কাজ করার অনুমতি দেয়, তবে এটি নিয়মিত সীমাবদ্ধ।
সারসংক্ষেপ
বিষয় |
বিবরণ |
ভিসার ধরন |
D-2 (বিশ্ববিদ্যালয়), D-4 (ভাষা শিক্ষা) |
আবেদন
মাধ্যম |
অনলাইন বা দূতাবাসে
সরাসরি |
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র |
পাসপোর্ট, ভর্তি লেটার, আর্থিক প্রমাণ, ছবি ইত্যাদি |
ভিসার
মেয়াদ |
কোর্সের মেয়াদ
অনুযায়ী |
আবেদন সময় |
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সেশন শুরু হওয়ার আগেই |
সার্চ কী: দক্ষিণ কোরিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা, দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন,
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রক্রিয়া, দক্ষিণ
কোরিয়া শিক্ষার্থী ভিসা, কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা গাইড,
দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভিসা, কোরিয়া
ভিসা নিয়ম, দক্ষিণ কোরিয়া ভর্তি ও ভিসা, কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি লাগে, দক্ষিণ
কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নতুন নিয়ম, কোরিয়ায় পড়াশোনা,
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসার তথ্য, কোরিয়া স্টুডেন্ট
ভিসা কিভাবে নিবেন, দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সময়কাল,
কোরিয়া শিক্ষার্থী ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, দক্ষিণ
কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসার কাগজপত্র
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক ও সম্পাদক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - সম্পাদক, Bangla Articles