জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করে বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক?

জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করে বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক?

বাংলাদেশে জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট শর্তে ঋণ দেয়। সাধারণত, জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করা হয় এমন ঋণগুলি পারসোনাল লোন বা নন-সিকিউরড লোন হিসেবে পরিচিত। 

তবে এসব ঋণের জন্য ব্যাংকগুলি সাধারণত কিছু অন্যান্য শর্ত রাখে, যেমন:

• ঋণগ্রহীতার ঋণ গ্রহণের যোগ্যতা (ক্রেডিট স্কোর)
• আয় প্রমাণ (মাসিক আয় বা কর্মসংস্থান)
• শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ ঋণ প্রদান করা হয়

বাংলাদেশে জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করে এমন কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো:

১. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (Bangladesh Krishi Bank)

• কিছু বিশেষ শর্তে এবং সরকারি কর্মচারী বা স্থায়ী চাকরিজীবীদের জন্য এই ব্যাংক জামানত ছাড়া ঋণ দেয়।
• সাধারণত ছোট পরিমাণের পারসোনাল লোন পাওয়া যায়।

২. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (Bangladesh Development Bank Ltd.)

• ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য এই ব্যাংক জামানত ছাড়া ঋণ দেয়, তবে ঋণগ্রহীতার আয় ও কর্মসংস্থান যাচাই করা হয়।

৩. এসএমই ফিনান্স (SME Finance)

• কিছু এসএমই ঋণ (Small and Medium Enterprises Loans) জামানত ছাড়াই দেওয়া হয়।
• তবে, এটি সাধারণত ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য এবং তাদের ব্যবসার প্রতিষ্ঠিত অবস্থার ওপর নির্ভর করে।

৪. স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ঋণ

• কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যেমন ঢাকা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (UCB) প্রাথমিক ভাবে শিক্ষকদের জন্য জামানত ছাড়াই ঋণ প্রদান করে থাকে।

৫. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (Standard Chartered Bank)

• এই ব্যাংক ব্যক্তিগত ঋণ বা পারসোনাল লোন প্রদান করে থাকে এবং কিছু ক্ষেত্রে তারা জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করতে পারে। তবে, সাধারণত তারা ঋণগ্রহীতার আয় ও ক্রেডিট স্কোর দেখে ঋণ প্রদান করে।

৬. এএফএম ফাইন্যান্স (AFM Finance)

• ছোট ব্যবসায়ীদের এবং কিছু নির্দিষ্ট সেক্টরের কর্মচারীদের জন্য জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করে থাকে।

৭. সিটি ব্যাংক (City Bank)

• সিটি ব্যাংক কিছু নির্দিষ্ট গ্রাহকের জন্য পারসোনাল লোন জামানত ছাড়া প্রদান করে থাকে। তবে, এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত থাকে, যেমন গ্রাহকের মাসিক আয় এবং ক্রেডিট ইতিহাস।

৮. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (UCB)

• পারসোনাল লোন জামানত ছাড়াই দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে, এই ঋণটির জন্য সাধারণত কিছু বিশেষ শর্ত থাকে, যেমন ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট স্কোর এবং আয়।

৯. বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank) - বিশেষ স্কিম

• বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের অধীনে বিশেষ ঋণ স্কিম (জামানত ছাড়া ঋণ) পরিচালনা করে থাকে। এসব ঋণ স্কিমে সাধারণত ব্যবসায়ী বা সরকারী চাকরিজীবীদের জন্য ঋণ প্রদান করা হয়।

শর্তাবলী:

• ক্রেডিট স্কোর: ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির শর্তে ক্রেডিট স্কোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• আয় প্রমাণ: স্টেবল ইনকাম সোর্স থাকা উচিত।
• ঋণ সীমা: সাধারণত ছোট পরিমাণে ঋণ দেওয়া হয় (যেমন, ১ লাখ টাকা পর্যন্ত)।

বাংলাদেশে জামানত ছাড়া ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট শর্তে ঋণ দেয়, তবে সাধারণত এ ধরনের ঋণ উচ্চ সুদের হারে প্রদান করা হয় এবং ঋণগ্রহীতার জন্য ক্রেডিট স্কোর এবং আয় একটি বড় ভূমিকা পালন করে।

সার্চ কী: জামানত ছাড়া ঋণ, জামানত ছাড়া লোন বাংলাদেশ, বাংলাদেশে গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ, জামানত ছাড়া ব্যক্তিগত ঋণ, কোন ব্যাংক জামানত ছাড়া লোন দেয়, বাংলাদেশে সহজ শর্তে লোন, জামানত ছাড়া ব্যাংক ঋণ ২০২৫, গ্যারান্টি ছাড়া পার্সোনাল লোন, সহজে লোন পাওয়ার উপায় বাংলাদেশ, কোন ব্যাংক লোন দিচ্ছে জামানত ছাড়া, ইসলামিক ব্যাংক জামানত ছাড়া ঋণ, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণ জামানত ছাড়া, চাকরিজীবীদের জন্য জামানত ছাড়া ঋণ, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন লোন, স্টুডেন্ট লোন জামানত ছাড়া বাংলাদেশ

ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Articles