মৌখিক যোগাযোগের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ লিখুন

Muhammad Al-Amin Khan, Editor in Chief of BA, BJN, BST
0


মৌখিক যোগাযোগের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ লিখুন

মৌখিক যোগাযোগ: মৌখিক যোগাযোগ হলো এমন একটি যোগাযোগ পদ্ধতি যেখানে শব্দ ও ভাষার মাধ্যমে কথোপকথন করে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। এটি সাধারণত মুখোমুখি, টেলিফোনে, সভা, আলোচনা বা কোনো বক্তৃতার মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই ধরনের যোগাযোগে ভাষার পাশাপাশি মুখভঙ্গি, স্বরের উঠানামা ও অঙ্গভঙ্গিও অর্থ বহন করে, যা বার্তার তাৎপর্য বুঝতে সহায়তা করে। মৌখিক যোগাযোগ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার সুযোগ দেয়, তাই এটি দ্রুত ও কার্যকর।

 

নিচে মৌখিক যোগাযোগের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ দেওয়া হলো:

মৌখিক যোগাযোগের সুবিধাসমূহ:

১. দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান: মৌখিক যোগাযোগে কথা বলার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাঠানো যায়, যা সময় সাশ্রয় করে।

২. তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়: শ্রোতা বা অপর পক্ষ সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে পারে, ফলে ভুল বোঝাবুঝি কম হয়।

৩. ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নয়ন: মুখোমুখি কথা বললে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্ক দৃঢ় হয়, বিশেষ করে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে।

৪. নমনীয়তা ও সহজতা: অফিস, বাসা বা যে কোনো জায়গায় সহজেই মৌখিক যোগাযোগ করা যায়, এতে কোনো কাগজপত্র লাগে না।

৫. অঙ্গভঙ্গি ও কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে অর্থ স্পষ্ট হয়: বক্তার মুখভঙ্গি, চোখের ভাষা ও কণ্ঠের ভঙ্গিমা শ্রোতাকে বার্তার গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করে।

 

মৌখিক যোগাযোগের অসুবিধাসমূহ:

১. স্থায়ীত্ব নেই: মৌখিক বার্তা লিখিত না থাকায় ভবিষ্যতে প্রমাণ বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যায় না।

২. ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা: বার্তা যদি পরিষ্কারভাবে না বলা হয়, তাহলে শ্রোতা ভুলভাবে বুঝে ফেলতে পারে।

৩. অনেক সময় গুরুত্ব কমে যায়: কিছু বার্তা মৌখিকভাবে দিলে তা গুরুত্বহীন বা কম গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হতে পারে।

৪. একসাথে অনেককে জানানো কঠিন: মৌখিকভাবে বার্তা পাঠাতে হলে প্রত্যেককে সরাসরি বলতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ।

৫. রেকর্ড রাখা যায় না: মৌখিক কথাবার্তার কোনো লিখিত প্রমাণ না থাকায় ভবিষ্যতে ভুল হলে দায় নির্ধারণ কঠিন হয়ে পড়ে।

 

উপসংহার: মৌখিক যোগাযোগ একটি প্রাচীন, প্রাকৃতিক এবং সবচেয়ে সাধারণ যোগাযোগের মাধ্যম, যা আজও ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পদ্ধতির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো — এটি দ্রুত, সরাসরি ও প্রতিক্রিয়াভিত্তিক

 

বিকল্প উত্তর:

মৌখিক যোগাযোগের সুবিধা  অসুবিধাসমূহ লিখুন।

মৌখিক যোগাযোগ হলো এমন এক প্রক্রিয়া, যেখানে মৌখিক ভাষা বা কথ্য শব্দের মাধ্যমে এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির সঙ্গে ভাব, মত, তথ্য, অনুভূতি বা নির্দেশনা আদান-প্রদান করেএটি সাধারণত সরাসরি (মুখোমুখি) বা পরোক্ষভাবে (টেলিফোন, ভিডিও কল ইত্যাদির মাধ্যমে) সম্পন্ন হয়। এই যোগাযোগের প্রধান বাহন হলো কথা বলা এবং শোনা, যার মাধ্যমে খুব দ্রুত এবং তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদান করা সম্ভব হয়।


নিচে মৌখিক যোগাযোগের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ ব্যাখ্যা করা হলো:

মৌখিক যোগাযোগের সুবিধাসমূহ (Advantages of Verbal Communication):

১. দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান: মৌখিক যোগাযোগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি খুবই দ্রুত কার্যকর হয়। একজন ব্যক্তি সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে তার বার্তা অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এতে সময় বাঁচে এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়।

২. তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়: মৌখিক যোগাযোগে দুই পক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এতে করে ভুল বোঝাবুঝি বা সন্দেহ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা দূর করা যায় এবং যোগাযোগ আরও কার্যকর হয়।

৩. ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নয়ন: যেহেতু মৌখিক যোগাযোগ সাধারণত মুখোমুখি হয়, তাই এতে পারস্পরিক সম্পর্ক ও বিশ্বাস গড়ে ওঠে। এটি অফিস, ব্যবসা বা সামাজিক সম্পর্ককে দৃঢ় করে।

৪. নমনীয়তা ও সহজতা: মৌখিক বার্তা পরিবেশনের জন্য কোনো কাগজ, কলম বা প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই। এটি খুব সহজ ও নমনীয় একটি পদ্ধতি, যা যে কোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যায়।

৫. অঙ্গভঙ্গি ও কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে অর্থ স্পষ্ট হয়: মৌখিক যোগাযোগে শুধু শব্দ নয়, বরং বক্তার মুখের অভিব্যক্তি, চোখের ভাষা এবং কণ্ঠস্বরের ওঠানামাও বার্তার অর্থ বহন করে। এটি শ্রোতাকে বোঝার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

 

মৌখিক যোগাযোগের অসুবিধাসমূহ (Disadvantages of Verbal Communication):

১. স্থায়ীত্ব নেই: মৌখিক বার্তা সাধারণত মুখে বলা হয় এবং রেকর্ড করে রাখা হয় না। ফলে ভবিষ্যতে যদি বার্তাটি পুনরায় জানার দরকার হয়, তখন তা পাওয়া যায় না। তাই এটি স্থায়ীত্বহীন।

২. ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা: যদি বক্তা বার্তাটি অস্পষ্টভাবে বলেন অথবা শ্রোতা মনোযোগ না দেন, তাহলে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩. অনেক সময় গুরুত্ব কমে যায়: মৌখিক বার্তা অনেক সময় লিখিত বার্তার মতো গুরুত্ব পায় না। শ্রোতা ভাবতে পারে এটি অনানুষ্ঠানিক বা কম গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, ফলে তারা বার্তাটি গুরুত্ব সহকারে নাও নিতে পারে।

৪. একসাথে অনেককে জানানো কঠিন: যদি একই বার্তা অনেককে জানাতে হয়, তাহলে তা একে একে বলতে হয় বা সভার আয়োজন করতে হয়। এতে সময় লাগে এবং কর্মক্ষমতাও কমে যেতে পারে।

৫. রেকর্ড রাখা যায় না: মৌখিকভাবে বলা কথার কোনো লিখিত রেকর্ড না থাকায় ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে প্রমাণ দেখানো যায় না। এটি অফিস বা ব্যবসায়িক পরিবেশে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

 

উপসংহার: মৌখিক যোগাযোগ একটি প্রাচীন, প্রাকৃতিক এবং সবচেয়ে সাধারণ যোগাযোগের মাধ্যম, যা আজও ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতা যেমন—স্থায়ীত্বের অভাব ও ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা থাকলেও, উপযুক্ত পরিস্থিতি এবং দক্ষতার মাধ্যমে মৌখিক যোগাযোগকে অত্যন্ত কার্যকর করে তোলা সম্ভব। অফিস, শিক্ষা, ব্যবসা কিংবা সামাজিক জীবনে সঠিক উচ্চারণ, স্পষ্ট ভাষা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলা এই যোগাযোগকে আরও সফল ও প্রভাবশালী করে তোলে।

 

সার্চ কী: মৌখিক যোগাযোগ কী কী? মৌখিক যোগাযোগ কাকে বলে উদাহরণ দাও? মৌখিক যোগাযোগ পদ্ধতি কাকে বলে? অ-মৌখিক যোগাযোগ কী? মৌখিক যোগাযোগ উদাহরণ, মৌখিক যোগাযোগ কি, মৌখিক ও অমৌখিক যোগাযোগ কি,মৌখিক যোগাযোগের বৈশিষ্ট্য, লিখিত যোগাযোগ কাকে বলে, মৌখিক যোগাযোগ কাকে বলে উদাহরণ, মৌখিক যোগাযোগের মাধ্যম কি, মৌখিক যোগাযোগ কিভাবে হয়, মৌখিক যোগাযোগের সুবিধা কী কী?, মৌখিক যোগাযোগ কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়? মৌখিক এবং অ-মৌখিক যোগাযোগ কী? মৌখিক যোগাযোগ কত প্রকার? মৌখিক যোগাযোগ উদাহরণ, মৌখিক যোগাযোগের বৈশিষ্ট্য, মৌখিক যোগাযোগ কি, মৌখিক ও অমৌখিক যোগাযোগ কি, মৌখিক যোগাযোগের মাধ্যম কি, মৌখিক যোগাযোগের কিছু দৃষ্টান্ত দাও, লিখিত যোগাযোগ কাকে বলে, লৈখিক যোগাযোগ কাকে বলে, মৌখিক যোগাযোগের সুবিধা কী কী?, যোগাযোগের অসুবিধা কি?, মৌখিক যোগাযোগের সমস্যা কি?, মৌখিক যোগাযোগের পাঁচটি বাধা কি কিমৌখিক যোগাযোগের সুবিধা ও অসুবিধা? মৌখিক যোগাযোগের সুবিধা কী কী? মৌখিক এবং অ-মৌখিক যোগাযোগ কী? যোগাযোগের সুবিধা ও অসুবিধা?

 

ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Articles

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top