শুক্রাণু কিভাবে বাড়ানো যায়, তৈরি হতে কতোদিন সময় লাগে

Muhammad Al-Amin Khan, Editor in Chief of BA, BJN, BST
0



শুক্রাণু কিভাবে বাড়ানো যায়, তৈরি হতে কতোদিন সময় লাগে

 

পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্যে শুক্রাণু (Sperm) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যারা পিতৃত্ব অর্জন করতে চান বা প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট, তাদের জন্য শুক্রাণুর পরিমাণ, গুণগত মান এবং কার্যক্ষমতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

 

শুক্রাণু তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে?

পুরুষদের শুক্রাণু তৈরি হওয়ার একটি পূর্ণ চক্র সম্পন্ন হতে মোটামুটি ৬৪ থেকে ৭৪ দিন (প্রায় ২ থেকে আড়াই মাস) সময় লাগে। এ প্রক্রিয়াকে বলে Spermatogenesis

  • শুক্রাণু উৎপন্ন হয় অণ্ডকোষে (Testicles)
  • উৎপাদিত শুক্রাণু Epididymis-এ সংরক্ষিত ও পরিপক্ব হয়, যেখানে প্রায় ১২-২১ দিন সময় লাগে।
  • অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে কার্যক্ষম শুক্রাণু তৈরি হতে গড়ে ৮০ থেকে ৯০ দিন সময় লাগে।

 

শুক্রাণুর পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধির উপায়

১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা

  • পর্যাপ্ত জিঙ্ক (Zinc): শুক্রাণু গঠনে জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ। দুধ, ডিম, কুমড়া বীজ, মাংস খেতে পারেন।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার: যেমন ভিটামিন C, E, ও সেলেনিয়াম — এগুলো শুক্রাণুর গুণগত মান উন্নত করে।
  • ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: মাছের তেল, চিয়া সিডস, আখরোট — শুক্রাণুর গতি ও গঠন উন্নত করে।

 

২. অতিরিক্ত তাপ এড়ানো

  • গরম পানিতে গোসল, ল্যাপটপ কোলে রাখা, বা সাঁতারপোশাক পরে দীর্ঘ সময় থাকলে অণ্ডকোষের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যা শুক্রাণু ক্ষতিগ্রস্ত করে।
  • ঢিলা আন্ডারওয়্যার পরা ভালো (যেমন: কটন বক্সার)।

 

৩. ধূমপান, মাদক, ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা

  • এগুলো শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয় এবং DNA ক্ষতিগ্রস্ত করে।

 

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

  • অতিরিক্ত ওজন টেস্টোস্টেরন হ্রাস করে এবং ইস্ট্রোজেন বাড়িয়ে দেয়, ফলে শুক্রাণুর উৎপাদন কমে।

 

৫. চিন্তা ও স্ট্রেস কমানো

  • দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে শুক্রাণু উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

 

৬. পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম

  • রাতের পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের হরমোন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখে, যা শুক্রাণু উৎপাদনে সহায়ক।

 

৭. নিয়মিত ব্যায়াম

  • ব্যায়াম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তসঞ্চালন ভালো রাখে, যা শুক্রাণুর উৎপাদনকে উৎসাহিত করে।

 

খাদ্য তালিকায় যেসব জিনিস রাখলে শুক্রাণু বাড়ে:

উপাদান

উৎস

ভিটামিন C

আমলা, কমলা, টমেটো

ভিটামিন E

বাদাম, সূর্যমুখী তেল

জিঙ্ক

গরুর মাংস, ডিম, দুধ

সেলেনিয়াম

ডিম, বাদাম, ব্রাজিল নাট

ওমেগা-৩

মাছের তেল, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড

ফোলিক অ্যাসিড

পালং শাক, ডাল, কলা

 

চিকিৎসা সহায়তা কখন প্রয়োজন?

  • যদি নিয়মিত চেষ্টা সত্ত্বেও ১ বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না ঘটে।
  • শুক্রাণুর সংখ্যা বা গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সিমেন অ্যানালাইসিস করানো উচিত।

 

উপসংহার: শুক্রাণু বৃদ্ধি করা সম্ভব, তবে এতে সময় লাগে এবং ধৈর্য ও নিয়মিত রুটিন দরকার। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে এটি প্রাকৃতিকভাবে উন্নত করা যায়। কেউ যদি দীর্ঘ সময় চেষ্টা করে ব্যর্থ হন, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

সার্চ কী: শুক্রাণু কিভাবে বাড়ানো যায়, শুক্রাণু তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে, শুক্রাণু বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়, শুক্রাণু বৃদ্ধি করার উপায়, শুক্রাণু কমে যাওয়ার কারণ, শুক্রাণু বাড়ানোর খাদ্য, পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়, প্রাকৃতিকভাবে শুক্রাণু বৃদ্ধি, শুক্রাণু বৃদ্ধিতে কি খাওয়া উচিত, শুক্রাণু কীভাবে বাড়ানো যায়, শুক্রাণু উৎপাদনের সময়, স্পার্ম কাউন্ট বাড়ানোর উপায়, শুক্রাণুর মান উন্নত করার পদ্ধতি, স্পার্ম হেলথ ভালো রাখার টিপস, শুক্রাণু বাড়ানোর ভিটামিন, শুক্রাণু বৃদ্ধি করার ওষুধ, পুরুষ বন্ধ্যত্বের কারণ, স্পার্ম কোয়ালিটি কিভাবে ভালো করা যায়, শুক্রাণু বাড়ানোর জন্য কী খাওয়া উচিত, শুক্রাণুর গুণমান কিভাবে উন্নত করা যায়

 

ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক ও সম্পাদক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - সম্পাদক, Bangla Articles

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top